Home Blog Page 4

কেন কিডনিতে পাথর হয় ? এর প্রতিকার কি ?

0

কিডনিতে পাথরঃ 

কিডনিতে পাথর কিডনির রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছরই আমাদের দেশে কিডনির পাথর জনিত কারণে অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে কিডনিতে এই পাথর হয়ে থাকে। একটু সচেতন হলেই কিডনির পাথর প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কিডনিতে পাথরের লক্ষণঃ

 পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
 প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া 
 প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
 বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
 যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
 বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া 

তবে,একেকজনের উপসর্গ একেকভাবে দেখা দিতে পারে। এ লক্ষণগুলোর সবই যে একজনের মধ্যে দেখা দেবে তা নয়। পাথরের আকৃতি এবং কিডনির কোনস্থানে পাথর জমেছে তার উপর উপসর্গগুলো নির্ভর করে। 

কিডনিতে পাথর কেন হয়?

আমাদের প্রস্রাবে পানি, লবন ও খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য বজায় না থাকলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের প্রস্রাবের উপাদানের এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যেমন-
# প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমান পানি পান করা।
# মাত্রাতিরিক্ত আমিষ/প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
# অতিরিক্ত খাবার লবন (সোডিয়াম সল্ট/টেবিল সল্ট) গ্রহণ।
# অতিরিক্ত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ যেমন চকলেট।
# শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।
#অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করা।

চিকিৎসাঃ কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারনা ঠিক নয়। ছোট আকৃতির পাথর সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়।

মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ উপযুক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় এবং কিডনির পাথরের ঝুঁকি এবং জটিলতা কমিয়ে আনে।
লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে কিডনি পাথর সেরে যায়। 

ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েলের যত উপকারিতা

0

ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল কি ? :

  • লবঙ্গ থেকে প্রস্তুত হয় এই তেল। এক পৃথক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, এই এসেনশিয়াল অয়েলের প্রয়োগে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। লবঙ্গের এই তেল অগ্ন্যাশয়ের কয়েকটি নির্দিষ্ট পাচকরসের মাত্রা হ্রাস করে, যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েলের উপকারিতাঃ

  • ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল ইনসুলিন মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ইনসুলিন তৈরি করে এমন অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলি ধ্বংস করে ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে তোলে, যা সাধারণভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত ইনসুলিন সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়। পোস্টপেন্ডিয়াল ইনসুলিন এবং গ্লুকোজ প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়াগুলি যখন আপনি ক্লোভ তেল ব্যবহার করেন তখন আরো নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে।
  • শুধু যন্ত্রণা উপশমে নয়, উত্তেজক হিসেবেও দারুণ কাজ করে ক্লোভ বার অয়েল।
  • দাঁতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হলে দাঁতের গোড়ায় দিতে হবে ঠিক ১ ফোঁটা ক্লোভ অয়েল। সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন আরাম। এছাড়া নিয়মিত টুথপেস্টের সাথে ১ ফোঁটা ক্লোভ অয়েল মিশিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত ব্যথার সম্ভাবনা থাকবে না।
  • ব্রণ নির্মূল করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে, ৩ ড্রপ তেল নিয়ে নিন এবং ২ চা চামচ কাঁচা মধু দিয়ে মেশান। একসঙ্গে মিশ্রিত করুন এবং স্বাভাবিক হিসাবে আপনার মুখ ধুয়ে নিন।

  • প্রচন্ড মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য বিশেষজ্ঞগণ ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে বলে।
ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল রক্ত ​​পরিশোধক হিসাবে কাজ করতে পারে আবার রক্ত ​​সঞ্চালনও স্বাভাবিক করতে পারে। এটি রক্ত ​​থেকে বিষাক্ততা নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে। সুগন্ধি নির্যাস আপনার রক্তের বিষাক্ত মাত্রা কমাতে পারে এবং শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাত্রা জাগিয়ে তুলতে পারে যা প্লেটলেটগুলিকে আরও বিশুদ্ধ করে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাজকে বাড়িয়ে তুলবে।
·উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্লোভ এসেনশিয়াল অয়েল একটি সমাধান। ব্রিটিশ জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি-তে প্রকাশিত ২০১৫ সালে প্রকাশিত প্রাণী গবেষণাটি জানায় যে ক্লোভ তেলের মধ্যে পাওয়া ইউজেনল শরীরের প্রধান ধমনীকে প্রসারিত করতে সক্ষম হতে পারে এবং সিস্টেমিক রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
·এই গবেষণায় দেখা যায় যে ইউজেনল মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে বিরুদ্ধে লিভার রোগ হতে রক্ষা করতে পারে।
লিভার প্রতিরক্ষামূলক সবচেয়ে ভালো তেল ক্লোভ অয়েল।

[বিঃদ্রঃ প্রতিটি এসেনশিয়াল অয়েল-ই একদম পিওর প্রাকৃতিক উপাদান থকে নিৎসৃত। ফলে পরিমানে অল্প হওয়া সত্বেও অনেক বেশি ইফেক্টিভ। নির্দিষ্ট পরিমান ব্যবহার যেমন উপকারী অতিরিক্ত ব্যবহার তেমনি ক্ষতিকারক সুতরাং কতটুকু পানি বাঁ তেল এর সাথে কি পরিমান অয়েল মেশাবেন তা আপনার ব্যাধি অনুযায়ী হেলথ প্র্যাক্টিশনারগণের সাথে পরামর্শ করে নিবেন]

কানে সমস্যা ও কান পাকা রোগে করনীয়

0

কান পাকাঃ

কান-পাকা রোগের অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু কান-পাকা রোগকে সাধারণ মামুলি রোগ মনে করেন অনেকেই। যার ফলে নানা স্বাস্থ্য বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয় এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। কানপাকা বলতে আমরা মধ্য-কর্ণের দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণকে বুঝি (csom)। এ রোগের চিকিৎসা ধৈর্য সহকারে গ্রহণ করতে হয়। এটি সারাতে উপদেশ মেনে চলার বিকল্প নেই।

কান পাকা রোগটি মূলত দুই ধরনের –

(১) সেফ টাইপ (টিউবোটিমপেনিক টাইপ), সাধারণত এটাতে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায় না। কানের পর্দার টানটান অংশটি ফুটো হয়ে যায়। আর ফুটো হবার কারণে কান দিয়ে পুঁজ পড়ে থাকে। উল্লেখ্য এ ধরনের কানপাকা রোগই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

(২) আনসেফ টাইপ (এটিকোএন্ট্রাল টাইপ), এই ধরনের কান পাকা রোগ থেকে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যা কিনা প্রাণনাশের হুমকিস্বরূপ। যেমন- ব্রেইনএবসেস, ম্যানিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস ইত্যাদি।

কি কি উপসর্গ থাকে?

১. মাঝেমধ্যে কান দিয়ে পুঁজের মতো পড়ে। পানি ঝরে। অনেক সময় ঠাণ্ডা-সর্দি হলেই এই পুঁজ পড়া পুনরায় শুরু হয়ে যায়।
২. কান ব্যথা হতে পারে।
৩. কান চুলকাতে পারে।
৪. কানে কম শোনে।

যারা কান পাকা রোগে ভুগছেন তাদের জন্য পরামর্শ-

(১) গোছলের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনোভাবেই কানে পানি ঢুকতে না পারে। প্রয়োজনে ইয়ারপ্লাগ দিয়ে গোসল করবেন। তা না হলে তুলা তেলে ভিজিয়ে অতিরিক্ত তেল চিপড়িয়ে ফেলে দিয়ে তুলা কানে দিয়ে গোছল করবেন। 
(২) পুকুরে/ নদীতে ডুব দিয়ে গোসল করবেন না। 
(৩) ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় ইত্যাদি পরিহার করে চলবেন।
(৪) অযথা কান খোঁচাখুঁচি করা যাবে না।

কিডনি রোগের কারণ ও কিডনি সুস্থ রাখার পরামর্শ

0

কিডনি মানব দেহের একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ , যা শরীরের ভিতরে বুকের পাঁজরের নিচে পেটের অংশে অবস্থিত । কিডনি সমস্যার কারনে মানুষের মৃত্যু ও হতে পারে ।

কিডনি রোগের কারনঃ

  • অধিক মাত্রায় ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির সমস্যা দেখা দেয় ।
  • উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এটি হতে পারে ।
  • নেফ্রাইটিস রোগ থাকলে হতে পারে
  • প্রস্রাবের সঙ্গে অ্যালবুমিন গেলে কিডনি রোগ হয় ।
  • একিউট রেনাল ফেউলিউর এর মাধ্যমে ।

কিছু তথ্যঃ

  • কিডনি রোগকে ৮০% নীরব ঘাতক বলা হয় ।
  • বর্তমান বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত ।
  • সারা বিশ্বে ২৪ লাখ মানুষ ক্রনিক কিডনি ডিজিজে মারা যাছে ।
  • ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কিডনি অকার্যকর না হলে কোন লক্ষন বোঝা যাই না
  • ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সের লোকদের কিডনি সমস্যা বেশি ।
  • বর্তমান বাংলাদেশে ২ কোটি লোকের কিডনি রোগ আছে ।

কিডনি সুস্থ রাখাতে কি করবেনঃ

  • প্রথমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে ।
  • কিডনি রোগের প্রধান কারন ডায়াবেটিস , সেহেতু শরীরে ডায়াবেটিস রয়েছে কি না তা জানতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।
  • উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে কি না তা জানতে হবে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।
  • ৪০ ঊর্ধ্বে বয়াস হলে শরীরের বিভিন্ন টেস্ট করাতে হবে যেমন প্রস্রাব টেস্ট , সুগার ।
  • ৪০ ঊর্ধ্বে বয়াস হলে কাঁচা লবন ,চিনি মিষ্টি ইত্যাদি পরিহার করতে হবে ।
  • নিয়মিত পরিশ্রম করতে হবে ।
কথা বলতে ক্লিক করুন
1
অনলাইনে চিকিৎসা পরামর্শ চান?
Scan the code
অনলাইনে পরামর্শ
হ্যালো 👋
আপনাকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারি? অনলাইনে চিকিৎসা পরামর্শ ও সেবা গ্রহণের জন্য আপনার সমস্যার বিস্তারিত আমাদের লিখুন এখানে।