কিডনিতে পাথরঃ
কিডনিতে পাথর কিডনির রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছরই আমাদের দেশে কিডনির পাথর জনিত কারণে অনেকের কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে কিডনিতে এই পাথর হয়ে থাকে। একটু সচেতন হলেই কিডনির পাথর প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কিডনিতে পাথরের লক্ষণঃ
পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া
প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া
তবে,একেকজনের উপসর্গ একেকভাবে দেখা দিতে পারে। এ লক্ষণগুলোর সবই যে একজনের মধ্যে দেখা দেবে তা নয়। পাথরের আকৃতি এবং কিডনির কোনস্থানে পাথর জমেছে তার উপর উপসর্গগুলো নির্ভর করে।
কিডনিতে পাথর কেন হয়?
আমাদের প্রস্রাবে পানি, লবন ও খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য বজায় না থাকলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বিভিন্ন কারণে আমাদের প্রস্রাবের উপাদানের এই ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যেমন-
# প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমান পানি পান করা।
# মাত্রাতিরিক্ত আমিষ/প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা।
# অতিরিক্ত খাবার লবন (সোডিয়াম সল্ট/টেবিল সল্ট) গ্রহণ।
# অতিরিক্ত অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ যেমন চকলেট।
# শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা।
#অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করা।
চিকিৎসাঃ কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারনা ঠিক নয়। ছোট আকৃতির পাথর সাধারণত প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়।
মনে রাখা প্রয়োজন, দৈনিক ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ উপযুক্ত পরিমাণে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায় এবং কিডনির পাথরের ঝুঁকি এবং জটিলতা কমিয়ে আনে।
লক্ষণ ভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে কিডনি পাথর সেরে যায়।